
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে রাজস্ব খ্যাতের আওতায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশায় প্লাবন ভূমি সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক জলাশয়ে ৫শ ১৫ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
(২৭ আগস্ট) বুধবার দুপুরের উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের জোয়ানশাহী হাওর ও উপজেলা পরিষদ এবং শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে পর্যায়ক্রমে পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।
এসময় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন, নবনিযুক্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ. এইচ. এম. আজিমুল হক ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয় বনিক সহ আরো অনেকে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয় বনিক বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত করার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব উপায়ে মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি সম্ভব। এতে একদিকে যেমন স্থানীয় জনগণ উপকৃত হবেন, অন্যদিকে দেশীয় মাছের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণও সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে সফলতা আনতে হলে স্থানীয় জনগণকেও সচেতন হতে হবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন বলেন, আমরা যদি দেশীয় মাছকে টিকিয়ে রাখতে চাই, তবে পোনা মাছের যত্ন নেওয়া জরুরি। ছোট মাছ ধরা বা হাওরে ক্ষতিকর কার্যক্রম চলতে দিলে এ উদ্যোগ সফল হবে না। মাছগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিলে শুধু স্থানীয় মানুষের চাহিদাই মিটবে না, জাতীয় পর্যায়ে দেশীয় মাছে আমরা স্বনির্ভর হতে পারব।
তিনি আরও জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী খাস, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জলাশয়গুলোতে এ বছর ৫১৫ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এসব উদ্যোগ সারা দেশে দেশীয় মাছের উৎপাদন বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে।