
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
কাতারের রাজধানী দোহায় হঠাৎ করেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কূটনৈতিক এলাকা। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এটি ছিল একটি ‘টার্গেটেড অ্যাসাসিনেশন অ্যাটেম্পট’, যার মূল লক্ষ্য ছিল হামাসের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করা। হামলার সময় দোহায় অবস্থানরত হামাসের আলোচক দল যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বলে জানা গেছে।
কাতারের তীব্র নিন্দা
হামলার পরপরই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ঘটনাটিকে ‘কাপুরুষোচিত অপরাধমূলক আক্রমণ’ আখ্যা দিয়েছে। কাতার জানিয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন এবং দেশটির নাগরিক ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি।
এখনও হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।
কূটনৈতিক সংকটের ইঙ্গিত
গাজার বাইরে এর আগে একাধিকবার হামাস নেতাদের টার্গেট করেছে ইসরায়েল। তবে মার্কিন মিত্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারী কাতারে সরাসরি এমন হামলা নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দোহায় হামাস নেতাদের উপস্থিতি যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে।
গাজায় রক্তক্ষয়ী অভিযান অব্যাহত
এদিকে একইদিনে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৭ জন খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় ছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্র।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ১ লাখ ৬৩ হাজার আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র: আল জাজিরা