
মোঃ নাঈমুজ্জামান নাঈম
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব বাজেটের আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে রুই, কাতলা, মৃগেল, গনিয়া ও কালিবাউশ দেশীয় জাতের পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর সোয়া বারোটায় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাস্তবায়নে উপজেলার কালী নদী ও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে এ পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে, কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জো্হরা কালী নদী ও আশপাশের বিভিন্ন জলাশয়ে এ পোনামাছ অবমুক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নব যোগদানকৃত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেফতাহুল হাসান, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মাসুদ রানা, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী (বিএডিসি সেচ) শাওন মালাকার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শাহাদাত হোসেন শাহ আলম, বিশিষ্ট ঠিকাদার আরিফ রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় ইউএনও সাবিহা ফাতেমাতুজ্-জো্হরা বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয়ে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র রক্ষা করা এবং মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে একদিকে স্থানীয় জনগণের মাছের চাহিদা পূরণ হবে, অন্যদিকে জেলে সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও সহায়ক হবে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মাসুদ রানা জানান, এদিন প্রায় ৫শ ২৯ কেজি দেশীয় প্রজাতির রুই, কাতলা, মৃগেল, গনিয়া ও কালি বাউশসহ বিভিন্ন প্রজাতির পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার বিভিন্ন খাল-বিল, নদী ও জলাশয়ে আরও পোনা অবমুক্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় জেলেরা জানান, প্রতি বছর পোনামাছ অবমুক্ত হলে মাছের উৎপাদন বাড়ে এবং বাজারে দেশীয় প্রজাতির মাছের যোগান বৃদ্ধি পায়। ফলে তাদের জীবিকা নির্বাহ সহজ হয়। এছাড়া উপজেলার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে জেলে পরিবারগুলো উপকৃত হবে।