
ভৈরব প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের পুরো এলাকা রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে। এসময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
রবিবার (২৪ আগষ্ট) বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পৌর শহরের চন্ডিবের পশ্চিম পাড়া ও পাগলা বাড়ির মধ্যে চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বাড়িঘর ভাঙচুরসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শহরের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।
খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ৫ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ২৩ জুলাই দুপুরে চন্ডিবের পাগলা বাড়ির পাপনের সাথে এক রিক্সা চালককে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় পাপন অটোরিক্সাটি কে আটকিয়ে রাখে। পরে পশ্চিম পাড়ার মিন্টু মিয়া ও খোকন মিয়াসহ স্থানীয়রা অটোরিক্সাটি উদ্ধার করে অটো চালককে ফিরিয়ে দেয়। ওই সময় এই নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে ২৬ জুলাই একই বিষয়কে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন উভয় পক্ষের ১৫ জন আহতসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দরবার সালিশ করে দু’পক্ষকে আর্থিক জরিমানা করে। এই ক্ষোভে শনিবার (২৩ আগষ্ট) দুপুরে পশ্চিম পাড়ার লোকজন বিয়ের একটি অনুষ্ঠানে জন্য কমিউনিটি সেন্টারে চলে গেলে পাগলা বাড়ির লোকজন হঠাৎ তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও লোটপাট চালাই। এই নিয়ে ওইদিন রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে রবিবার (২৫ আগষ্ট) সকালে পশ্চিম পাড়ার এক ছেলে রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় পাগলা বাড়ির লোকজন তাকে একা পেয়ে পিটিয়ে দিলে এই নিয়ে তাদের মধ্যে আবার শুরু হয় ঝগড়া। এসময় উভয় পক্ষ ইট পাটকেল, দা, বল্লম, লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।চলে দাওয়া পাল্টা দাওয়া। এতে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে ভৈরব সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. নাজমুস সাকিব বলেন, চন্ডিবের এলাকার পশ্চিম পাড়া ও পাগলা বাড়ির মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়ে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।